মঙ্গলবার, জুলাই ১৫, ২০২৫

কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন বাংলাদেশের জন্য হতাশার

কলম্বো টেস্টে বাংলাদেশের সামনে এখন ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা। শুক্রবার, তৃতীয় দিনে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১১৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা, এখনো পিছিয়ে আছে ৯৬ রানে। এই রানটুকু নিতে ব্যর্থ হলে সিরিজ খোয়াতে হবে ১-০ ব্যবধানে, কারণ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পরাজয় নিশ্চিত হবে। এর আগে দুই দলের মধ্যকার গল টেস্ট ড্র হয়েছিল।

গল টেস্টে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত রান পেলেও কলম্বোতে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দলের চরম বিপদের মুহূর্তেও তারা ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারেননি।

বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়

চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ২১১ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। তৃতীয় সেশন শুরুর পর পরই চার বলের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে দলটি বড় বিপদে পড়ে। দিনের শেষ পর্যন্ত এই বিপদ বাংলাদেশকে তাড়া করে বেড়িয়েছে।

দিনের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগে স্পিনার থারিন্দু রত্নানায়েকের এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ (১১)। তার বিদায়ের পরপরই তৃতীয় দিনের খেলার সমাপ্তি ঘটে।

তার আগে মুশফিক (২৬) ও শান্তর (১৯) বিদায় বাংলাদেশের লড়াইয়ের আশা প্রায় ম্লান করে দেয়। মুমিনুল হকও (১৫) আবারও ব্যর্থতার গল্প লিখেছেন।

লঙ্কানদের উৎসব শুরু হয়েছিল ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে দিয়ে, যিনি আগের তিন ইনিংসে এক অঙ্কের ঘরে ফিরেছিলেন। পেসার আশিথা ফার্নান্দোর বলে এটি তার টানা চতুর্থ বারের মতো আউট হওয়া। তবে এবার বিজয় দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছেন, ১৯ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

বিজয় যখন ফেরেন, তখন বাংলাদেশের রান ছিল ৩১। স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ না হতেই পরের ওভারেই প্রভাত জয়াসুরিয়াকে উইকেট উপহার দেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম (১২)। লঙ্কান এই স্পিনারের কলম্বো টেস্টে এটিই প্রথম উইকেট। চার বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ শুরুতেই বিপদে পড়ে।

শ্রীলঙ্কার ইনিংস

এর আগে শুক্রবার তৃতীয় দিন ২ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করে শ্রীলঙ্কা। ওপেনার পাতুম নিশানকা ১৪৬ ও প্রভাত ৫ রান নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। দিনের শুরুতে স্বাগতিকরা এই দুজনকে হারায়; নিশানকা ১৫৮ এবং প্রভাত ১০ রানে ফেরেন।

৫ উইকেটে ৩৪২ রান নিয়ে শ্রীলঙ্কা লাঞ্চ বিরতিতে যায়। দ্বিতীয় সেশনেই তারা বাকি ৫ উইকেট হারায়। চা বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৩১ রান নিয়ে মাঠে ছিল। তৃতীয় সেশনের শুরুতেই সাদমান বিদায় নেন।

Share post:

spot_imgspot_img