বুধবার, জুলাই ১৬, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে সার নিয়ে ডিলারের ‘নাটকিয়তা’

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় কৃষকের সার নিয়ে যেন শুরু হয়েছে এক নাটকিয়তা। ফলে বিপাকে পড়েছেন ওই উপজেলার কৃষকেরা। সময় মতো জমিতে সার দিতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকেরা। এদিকে বিষয়গুলো জেলা কৃষি অফিসারকে অবগত করা হলে তিনি বলছেন, বিষয়গুলো নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে কথা বলেন।

অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নারাজ উপজেলা কৃষি অফিসার।

যানা যায়, হরিপুর উপজেলার কৃষকেরা বিসিআইসি ও বিএডিসির অনুমোদিত রাসায়নিক সার ডিলারের কাছে সার নিতে গেলে চাহিদা মতো পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সাথে ডিলারের পেছনে ঘুড়তে হয় দিনের পর দিন। যার ফলে সময়মতো কৃষক তার জমিতে সার দিতে না পাড়ায় ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হচ্ছে। যদিও কিছু সার পাওয়া যাচ্ছে তার জন্য ডিলারের পিছে ঘুড়তে হয় দিনকে দিন।

স্থানীয় কৃষক মুকুল, জয়নাল সহ বেশ কয়েকজন বলেন, যাদুরানী বাজার এলাকায় ডিলার সার দেওয়ার কথা, কিন্তু সেটি নিতে হচ্ছে ধীরগঞ্চ বাজার এলাকায় গিয়ে। একতো দূরে গিয়ে নিতে হচ্ছে তার ওপর হয়রানির তো শেষ নেই। ডিলার বলে সার নাই, এই নাই সেই নাই। আমাদের চাহিদা মতো সার দিচ্ছে না। অথচ কালোবাজারিতে সার বিক্রি করা হচ্ছে। ইউরিয়া সারের সরকারি মূল্য ১ হাজার ৩৫০ টাকা হলেও কালোবাজারিতে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫শ টাকায়, পটাশ সার বিক্রি হচ্ছে ১৫শ টাকা, ফসফেট ১৬শ টাকা, ডেপ সার ১৩শ ৫০ টাকা। সব কিছু কালোবাজারিতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ফজলু নামে আরেক কৃষক বলেন, মেসার্স আমিনা ট্রেডার্স এর প্রো. সামিমা ইয়াসমিন (ডিলার) কৃষি উপ সহকারি কর্মকর্তা আমিনুলের সাথে কথা বলেন, আর উপ-সহকারীর যাকে দিতে বলেন ডিলার তাকেই দেন সার। এই যদি কৃষির অবস্থা হয় তাহলে আমাদের মাঠে মারা যেতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে মেসার্স আমিনা ট্রেডার্স এর প্রো. সামিমা ইয়াসমিনকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। সার বিতরণের সময় তার দোকানে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বকুয়া ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি উপজেলা বিভিন্ন মিটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।আসলে মাঠ পর্যায়ে যাই। সাধারণ কৃষকের বিভিন্ন প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাজ করে চলে আসি; কে চিনল না চিনল তা দেখার সময় নাই।

এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রুবেল হুসেনে বার বার ফোন করা হলেও তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

অপরদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন, আমি একটু ব্যস্থ আছি।

Share post:

spot_imgspot_img