সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অশোভন আচরণ করে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাবি প্রো-ভিসিকে (শিক্ষা) ক্ষমা চাওয়াসহ রাতের মধ্যে পাঁচ দফা দাবি মানতে হবে- এমনটাই হুশিয়ারি দিয়েছেন সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পয়েন্ট আব্দুর রহমান। মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি ক্ষমা না চাইবেন এবং দাবি মেনে না নেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত সায়েন্সল্যাব-নীলক্ষেত সড়ক বন্ধ থাকবে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের পক্ষ থেকে এসব হুশিয়ারি দেন আব্দুর রহমান।
এসময় আব্দুর রহমান তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো–
১. ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
২. সাত কলেজের শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।
৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
৪. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায়-নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।
৫. সাত কলেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ছাড়া নতুন একটি অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাবির প্রো-ভিসি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ না। আজকের শিক্ষার্থীরাই দেশ এবং জাতির ভবিষ্যৎ। সাত কলেজ থেকে টাকা ইনকামের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেই জ্বালা শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাড়ার মাশুল হিসেবে তাকে রাস্তায় এসে ক্ষমা চাইতেই হবে।
আব্দুর রহমান বলেন, যেহেতু নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, তাই ৭ কলেজে ভর্তির আসন কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) এবং কয়েকজন শিক্ষক সাত কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে অপমান করে বের করে দেন। তাই শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়াসহ সবগুলো দাবি রাতের মধ্যে মেনে নিতে হবে। সমাধানের আগ পর্যন্ত নীলক্ষেত-সায়েন্সল্যাব বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের চারপাশের সব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তৈরি হয় তীব্র যানজট।
এসময় অবরোধ করা শিক্ষার্থীরা প্রো-ভিসিকে তুলে স্লোগান দিতে থাকে- ‘প্রো-ভিসি তুই স্বৈরাচার, এই মুহূর্তে গদি ছাড়’, ‘আমাদের পাঁচ দফা, মানতে হবে মানতে হবে’।