ঝিনাইদহের শৈলকূপায় জমি দখলের ঘটনায় এক পর্যায়ে দুপক্ষের সংঘর্ষস্হলে উপস্থিত না থেকেও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের নামে মামলা করেছেন দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার সাধুহাটি গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে একই গ্রামের রুহুল আমিনের (৩৮) বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় রুহুল আমিন বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে শৈলকূপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঘটনায় জড়িত না থেকেও আসামী করা হয়েছে একই গ্রামের পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আবু মুসাকে (২৩)।
এদিকে মামলার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আসামিরা।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙচুর কান্ডে কোনভাবেই জড়িত না থাকার পরেও মামলার ১১ নম্বর আসামি করা হয় একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার ৩ দিন আগে শুক্রবার থেকেই ভুক্তভোগী আবু মুসা পাবনাতে অবস্থান করেছেন এবং শনিবার থেকেই নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছে ১৫ জানুয়ারি ফেসবুকে জমি দখলের জড়িতদের বিচার চাওয়া এক পোস্টকে কেন্দ্র করে জড়িত না থাকলেও ইচ্ছাকৃতভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগীর নাম দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবু মুসা বলেন, “গত ১৩ জানুয়ারি আমাদের গ্রামে জমি নিয়ে তালেব ও মনোয়ারের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন (১৩ জানুয়ারি) আমি পাবনাতে অবস্থান করি। আমি এই মারামারির সাথে কোনভাবেই জড়িত নই। মূলত আমি ১৫ জানুয়ারি আমার ফেসবুক একাউন্টে সুষ্ঠু বিচার চেয়ে একটা পোস্ট করি, এই পোস্ট আমার জীবনে কাল হয়ে আসে। পোস্ট করার কারণে আমার নামে মামলা দিয়ে দেয়। আমাকে ১১ নম্বার আসামি করে কোটে মামলা দায়ের করে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে আমার নামে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী করছি।”