মঙ্গলবার, জুলাই ১৫, ২০২৫

‘কাজও শেষ রাস্তার মেয়াদও শেষ’

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পাড় না হতেই মানুষের চলাফেরাতে উঠে যাচ্ছে বিটুমিনের নিচে থাকা পাথর ও সুরকি। এ ছাড়া রাস্তার দুই পাশে মাটি ভরাট এবং পুকুর-খালের পাড়ে গাইডল নির্মাণ ছাড়াই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) নির্মীয়মাণ ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, বোকাইনগর ইউনিয়নের বৃ-বড়ভাগ থেকে বাংলাবাজার সড়কের রাস্তার বিভিন্নস্থানে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।

রাস্তার দুপাশে সড়ক নির্মাণ নতুনভাবে কোনো মাটি ভরাট করা হয়নি। খালপাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাস্তা নির্মাণ করা হলেও দেওয়া হয়নি গাইডল। যা এ সড়ক বর্ষায় মৌসুমে ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আড়াই কিলোমিটার রাস্তাটি নির্মাণে প্রায় এক কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে তৎকালীন এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ এ সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। রাস্তাটি নির্মাণে অত্যন্ত নিম্নমানের খোয়া (ইটের সুরকি) ব্যবহার করা হয়েছে। বালির বদলে রাস্তায় দেওয়া হয়েছে মাটি।

বৃ-বড়ভাগ গ্রামের মৃত আলী নেওয়াজের পুত্র হাবিবুর রহমান হাবুল জানান, রাস্তার কার্পেটিং করার সময় পিচ (বিটুমিন) অত্যন্ত নিম্নমানের এবং কম ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে বিটুমিনের নীচ থেকে পাথর উঠে যাচ্ছে। রাস্তা নির্মাণের পরেই বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. বাচ্চু মিয়া (৬৫) জানান, রাস্তা করে গেল বৃহস্পতিবার, শনিবার খালি পায়ে ঘষা দিলেই সুরকি উঠে যাচ্ছে। বিটুমিন না দিয়ে সম্ভবত কালো রং ব্যবহার করা হয়েছে।

স্থানীয় বুরহান মন্ডল বলেন, অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের বিটুমিন ও সুরকি, তাই কাজও শেষ রাস্তার মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে।

ঠিকাদার সাব্বির আহমেদ বলেন, সড়ক নির্মাণে উন্নত মানের পাথর ও বিটুমিন দেওয়া হয়েছে। জেলা থেকে বিশেষজ্ঞ টিম পরীক্ষা করে দেখেছেন। এমন হওয়ার কথা নয়, তবে বিটুমিন ও পাথর এক সঙ্গে হতে ১০-১২দিন সময় নিবে।

গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী অসিত বরণ দেব বলেন, এখন ঠান্ডার সময় তা ছাড়া মাত্র সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বিটুমিন আর পাথর একসঙ্গে জমাট বাধতে একটু সময় লাগে। দু-একদিন গেলে রাস্তাটা ঠিক হয়ে যাবে।

Share post:

spot_imgspot_img