মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
ছোটবেলায় একটি মুরগির ছবি এঁকেছিলেন। এত্ত সুন্দর ছবি! মা-নানীর বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছিল! ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকির হাতেখড়ি। বর্তমানে ছবি এঁকেই খুঁজে পেয়েছেন আয়ের পথ। যার কথা বলছি তিনি নুসরাত জাহান মীম। অধ্যয়ণরত কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে।
ছবি আঁকায় প্রাতিষ্ঠানিকতা নেই। চেষ্টা ও ইচ্ছাশক্তিতেই রপ্ত করেছেন ছবি আঁকার নানান বিষয়াদি। ২০১৯ সাল থেকে বেশ জোড়ালোভাবেই শুরু করেন আঁকাআঁকি। কুমিল্লায় ধর্মসাগর পাড়ে এক উন্মুক্ত আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণের পর থেকেই মূলত আঁকাআঁকির যাত্রা।
পেন্সিল, এক্রিলিক, অয়েল, ওয়াটার কালারসহ সব মাধ্যমেই ছবি আঁকেন এই শিল্পী। এখন অব্দি প্রায় ৫০০ এর অধিক ছবি এঁকেছেন। নুসরাত বলেন, ‘ছবি আঁকা আমার শখ ছিল। এখন পেশায় পরিণত হয়েছে।’ বাস্তবসম্মত, প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ছবি আঁকা তার পছন্দ। ফেসবুকে তার পেইজের নাম Nusrat The Artist।

পরিচিতজনেরা ফোনে অর্ডার করেন। অর্ডার করা যায় ফেসবুক ইনবক্সেও। ছবির ধরণ, সাইজ, মাধ্যম ও আঁকার উপর নির্ভর করে দাম নির্ধারন করেন তিনি। তার বিক্রিত ছবির সর্বোচ্চ মূল্য ছিল বারো হাজার টাকা।
ছবি আঁকায় খুঁজে পান প্রশান্তি। নুসরাত জানান, আমার একটি বিখ্যাত ছবি হলো কাবা। এটি ব্র্যাক এলোরিন আর্ট ইন্টারন্যাশনাল উইন্টার পেস্ট-এ স্থান করে নিয়েছিল। কুমিল্লা চারুশিল্প কর্তৃক আয়োজিত শিল্পকলা একাডেমীতে শতাধিক আর্টিসদের ছবি নিয়ে আয়োজিত এক্সিবিশনে ‘অসহায়ত্ব’ শিরোনামে তার একটি ছবি বেশ প্রশংসা কুঁড়ায়।
আঁকাআঁকি, পড়াশোনার পাশাপাশি তার রয়েছে একটি চ্যারিটি। যার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সাহায্য করেন। নুসরাত আায়ের ৭০ শতাংশ এই চ্যারিটির কাজে খরচ করেন।