মঙ্গলবার, জুলাই ১৫, ২০২৫

বরেন্দ্রের পথে পথে

অরণ্য সৌরভ

কার্তিকের তেইশতম সকাল। হিমেল পরশ জানান দিচ্ছে শীতের। চারিদিকে সোনালি ধান কাটার উৎসব। কৃষকের মাথায় ধানের বোঝা, হাতে কাস্তে। ধানের মাঠের অপরূপ শোভা, শান্ত স্নিগ্ধ ঐশ্বর্য হৃদয়ে দিয়ে যাচ্ছে প্রাণময় দোলা। এই দোলায় চোখে আসছে প্রশান্তি। গ্রামের পথ-ঘাট-মাঠ-প্রান্তর পেছনে ফেলে পূর্ব পরিকল্পনা মতো আমি এবং মহিতুল ইসলাম হিরু মামা সকাল আটটায় কালাপাহাড়িয়া থেকে রওনা হয়েছি গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে। পৌঁছাই সোয়া এগারোটায়। পরিকল্পনায় নওগাঁ গন্তব্য হলেও হানিফ পরিবহনের দুটি টিকেট নিলাম জনপ্রতি ৫৫০ টাকায়, গন্তব্য বগুড়া। দুপুর বারোটায় বগুড়ার উদ্দেশে যাত্রা করল বাস। শহরের মানুষের ছুটে চলা, যানজট, জুমার আযান, রাস্তার দুধারের বিরাট বিরাট দালান, বৃক্ষশোভিত-সৌন্দর্যমন্ডিত আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে ছুটে চলেছি আমরা। জীবনের প্রথম যমুনা সেতু ভ্রমণ খানিক আগের সাভার-আশুগঞ্জের যানজটের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিল। তবে খানিক খারাপ লেগেছে নদীমাতৃক দেশের প্রধান একটি নদী যমুনা মরা নদীতে পরিণত হচ্ছে বলে।

বগুড়ার ধনকুন্ডির ফুড ভিলেজে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে যাত্রা বিরতি করল। বিশ মিনিট বিরতির পর পুনরায় যাত্রা করল বাস। মাগরিবের পরপর বনানী চৌরাস্তায় নেমে পড়লাম। সিএনজিযোগে ২০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছে গেলাম সাতমাথার মোড় বা বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ারে। এর খুব কাছেই হোটেল মেট্রো ইনে উঠলাম। দুই বেডের নন-এসি রুম নিলাম ২০০০ টাকায়। ফ্রেশ হয়ে বের হলাম রাতের খাবার খেতে এবং বগুড়া শহর অবলোকন করতে। ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক আকবরিয়া গ্র্যাণ্ড হোটেলে রাতের খাবার পর্ব শেষে ঘুরলাম বগুড়া শহর। রুমে ফেরার আগে কিনলাম বগুড়ার বিখ্যাত দই। হাফ কেজি ৩০০ টাকায়।

কার্তিকের চব্বিশতম দিন সকাল সোয়া সাতটায় বিআরটিসির গেইট থেকে মেসার্স লিজা এন্টারপ্রাইজ বাসযোগে জনপ্রতি ১০০ টাকা ভাড়ায় রওনা করলাম নওগাঁ। সরকারি আজিজুল কলেজ, চান্দু স্টেডিয়াম, চারমাথা চৌরাস্তা, বিমানবন্দর পেরিয়ে চললাম নওগাঁ। শীতের সকাল, চারপাশ কুয়াশায় ঘেরা, রাস্তার দুধারে নানান বৃক্ষের সমারোহ, একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে কি যেন! রাস্তার পাশের পাকা সোনালি ধান কুয়াশাচ্ছন্ন সূর্যের কিরণে যেন হেসে উঠছে। স্থানীয় পরিবহন হিসেবে পরিচিত ভ্যান। ভ্যানে চড়ে নানান বয়সের মানুষের যাতায়াত অন্য এলাকার মানুষকে দিবে নবআনন্দ। সময় বাড়ার সাথে সাথে সূর্যও শক্তির জানান দিচ্ছে তাপপ্রয়োগে। সকাল নয়টা নাগাদ পৌঁছাই বালুডাঙা বাসস্ট্যান্ড বা নওগাঁ বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে জনপ্রতি ৪০ টাকা ভাড়ায় সিএনজিযোগে বদলগাছি, বাসযোগেও যাওয়া যায়। বদলগাছি বাজারে ভালো মানের তেমন খাবার হোটেল নেই। অনেক খুঁজে মোটামোটি একটা হোটলে পেলাম, পরোটা-ডাল-ডিম-মিষ্টিতে সারলাম নাস্তা। এখানে পেলাম ঘি বা তেলে রান্না করা খুদের ভাত। বদলগাছি থেকে ৩০ টাকা ভাড়ায় সিএনজিযোগে পাহাড়পুর বাজার। নেমেই প্রথমে দেখে নিলাম পাহাড়পুর আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়।

সেখান থেকে ১০ টাকা ভাড়ায় ভ্যানযোগে সকাল সাড়ে দশটায় পৌঁছে গেলাম কাক্সিক্ষত পালবংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল কতৃক খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের শেষের দিকে নির্মিত পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। ৩০ টাকা মূল্যের টিকেট নিয়ে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটির বিস্তৃত এলাকাজুড়ে হেঁটে হেঁটে ইতিহাসের পাতা পরখ করতে শুরু করলাম। যারা কখনো পাহাড়পুর যাননি, তাদের কল্পনাজগতে হয়তো ভেসে বেড়াচ্ছে পাহাড়পুর পাহাড়ে ভরপুর। কিন্তু সত্য হলো পাহাড়পুরে কোনো পাহাড় নেই। শুধু নানা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন একটি ভগ্ন মন্দির বিদ্যমান। টিকেট সংগ্রহ করে প্রবেশ করতেই বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ধ্বংসাবশেষের লাল ইট, চারপাশে বিশাল বিশাল গাছ দেখা যাচ্ছে। খানিক হাঁটলেই দেখা মিলে মন্দিরের। একটি ছোট ব্রিজ পাড় হয়েই ধ্বংসাবশেষ শুরু। সেটার উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চর্তুদিকে চক্কর দেওয়া যায়। আর স্থাপনার কাছে যেতেই চোখ ধাঁধানো দৃশ্য। সোনালি ইটের ওপর রোদের আলো ঝলমল করছে। মন্দিরের গায়ে অসংখ্য প্রাণীর, দেবদেবীর বা প্রাচীন মিসরীয় ভাষা হায়ারোগ্লিফের মতো আঁকা ছবি রয়েছে। মন্দিরটি প্রাচীন হওয়ায় ভেতরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দুএক ঘন্টায় মন্দিরসহ পুরো এলাকা ঘুরা যায়। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটিতে রয়েছে দুটি রেস্ট হাউস, বাহির হওয়ার গেইটের বাইরে রয়েছে খাবার হোটেল এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসপাতি। রয়েছে পথের দুই পাশে বাহারী ফুলের বাগান, লতানো বৃক্ষের মাধ্যমে তৈরি হাতির পালসহ আকর্ষণীয় ডিজাইনের বাগান, যা আপনাকে মোহিত করার পাশাপাশি বহুগুণে বাড়িয়েছে পুরাকীর্তিটির সৌন্দর্য।

বেলা বারোটায় পাহাড়পুর থেকে বের হয়ে পূর্বের মতো যানে চড়ে দুপুর একটায় পৌঁছাই বালুডাঙা বাসস্ট্যান্ড। দুপুরের খাবারের জন্য হোটেল খুঁজি কিন্তু পুরো বাসস্ট্যান্ডজুড়ে খাবারের তেমন দোকান পেলাম না। ভাবতে লাগলাম এবার গন্তব্য কোথায়? সাতপাঁচ ভেবে জনপ্রতি ১৮০ টাকায় রেডহর্স পরিবহনের টিকেট নিলাম, গন্তব্য রাজশাহী। বেলা দুইটায় যাত্রা করল বাস, পৌঁছালাম বিকাল পৌনে চারটায়। নামলাম রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সামনে। প্রবেশ করলাম খাবার হোটেলে, খেলাম চাপাইনবাবগঞ্জের বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী কালাই রুটি।

রাত্রিযাপনের জন্য উঠলাম আঞ্জুমান হোটেল ইন্টারন্যাশনালে। দুই বেডের এসি রুমের ভাড়া ১৬০০ টাকা, সাথে রয়েছে সকালের নাস্তা। রেস্টের পর সন্ধ্যায় বের হলাম রাতের রাজশাহী নগরী অবলোকনে। শুরুতেই গন্তব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিদ্যাপীঠের প্রধান গেইটে পৌঁছে ফোন দিলাম এলাকার ছোট ভাই মান্নানকে। ভিসি চত্বর দেখতে দেখতে আসলো মান্নান। ভিসি চত্বর, প্যারিস রোড, টুকিটাকি চত্বর, প্রেমবঞ্চিত চত্বর, ইবলিশ চত্বর, ফোকলোর চত্বর, বিসিএস চত্বর, জোহা চত্বর, শহিদ মিনার চত্বর, বুদ্ধিজীবী চত্বর, টিএসসিসি চত্বরসহ হেঁটে হেঁটে ক্যাম্পাস অবলোকন করলাম। টিএসসি চত্বরে এসে দেখলাম চলছে বাহারী পিঠা খাওয়ার ধুম। আমরাও শামিল হলাম। খেলাম তিন প্রকারের ভর্তার মিশ্রণে বড় চিতল পিঠা। মান্নান বলল রাজশাহী থেকে যাবার আগে যেন কাটাখালীর কালাভুনা খাই। ক্যাম্পাস দর্শনের পর রাতের রাজশাহী নগরীর রূপের মুগ্ধতা নিয়ে ফিরলাম হোটেলে।

কার্তিকের পচিশতম দিন বিছানা ছাড়লাম একটু দেরিতে। নাস্তা পর্ব শেষে সকাল নয়টা নাগাদ বের হলাম টি-বাঁধের উদ্দেশে। অটোরিকশায় ৬০ টাকা ভাড়ায় নগরীর রাস্তা, অলিগলি পেরিয়ে পৌঁছালাম টি-বাঁধ। খানিক ঘুরাফেরার পর পদ্মা পাড়ি দিয়ে পদ্মার বিভিন্ন চরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রায় দুঘন্টা অপেক্ষা করেও লোকবলের সংকটে যেতে পারলাম না চরখানপুর, বর্ডারচর, মিডেলচর। চরের সৌন্দর্য উপভোগ থেকে বঞ্চিত হলাম। হৃদয়ে দুঃখ পুষে আলু ভাজা, আচার খেয়ে চড়ে বসলাম অটোরিকশায়, গন্তব্য বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর। ২০ টাকা মূল্যের টিকেট নিয়ে প্রবেশ করলাম ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী হতে। তেরোটি গ্যালারী সম্পৃদ্ধ জাদুঘরটিতে দশটি (তিনটির কাজ চললাম) গ্যালারীকে ঐতিহাসিক আঁতুরঘর বলা যায়। গ্যালারীগুলোতে নিদর্শনের বিবরণ, সংগ্রহ স্থান-তারিখসহ যা যা দেখা যাবে, তাহলো:


গ্যালারী-১: প্রত্ননিদর্শনের মধ্যে সিন্ধু সভ্যতা, ধর্মপালগড় (নীলফামারী), মহাস্থানগড় (বগুড়া), ময়নামতি (কুমিল্লা), নালন্দা (বিহার, ভারত), মঙ্গলকোট (বগুড়া), পাহাড়পুর (নওগাঁ)।
গ্যালারী-২: ১৮-১৯শ শতাব্দীর গৃহস্থালী জিনিসপত্র, মুসলিম যুগ, পাহাড়পুর, পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, পুঠিয়া, খুলনা রাজাদের আমলের বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি এবং নিদর্শন।
গ্যালারী-৩: ব্রাক্ষ্মণ দেবতা ও অপ্রধান দেবতাদের মূর্তি। এর মধ্যে রয়েছে- গরুড়ারূঢ় বিষ্ণু, ব্রক্ষ্মা, ব্রক্ষ্মা, বিষ্ণু ও শিব (ত্রিমূর্তি), বিষ্ণু, বিষ্ণু (ত্রিবিক্রম), সূর্য, মার্ত্তণ্ড্য ভৈরব, হনুমান, রাম-লক্ষ্মণ-সীতা, উমা-মহেশ্বর, শিব নটরাজ, উপবিষ্ট কার্ত্তিক, নৃত্য-গণপতি, আবক্ষ শিব, বটুক ভৈরব, শিব, সদাশিব, শিব (অঘোর-রুদ্র), শিব-ভৈরবের মাথা, শিব নটরাজ, বিষ্ণুর মাথা।
গ্যালারী-৪: সূর্যের বিভিন্ন বড় বড় মূর্তি।
গ্যালারী-৫: বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত বৈষ্ণব তথা বিষ্ণুর বড় বড় মূর্তি।
গ্যালারী-৬: শিব অর্ধনারী, দুর্গা সিংহবাহিনী, পার্বতী, দুর্গা মহিষমর্দিনী, মনসা,সরস্বতী, চণ্ডী (গৌরী), মা ও শিশু, নব-মাতৃকার মূর্তির নিদর্শন।
গ্যালারী-৭: বুদ্ধ, বোধিসত্ত্ব (মঞ্জুবর), মঞ্জুবর, বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বর, বুদ্ধ (রত্ন-সম্ভব), লোকনাথ, জীন ঋষভনাথ, শান্তিনাথ, মঞ্জুশ্রী, উপবিষ্ট বুদ্ধ, মারীচী, মহত্ত্বরী তারা, খদিরাবনী তারা, চুণ্ডা, বোধিসত্ত্ব পদ্মপাণি (গান্ধাররীতি), যক্ষ ও যক্ষী, জম্ভল, খসপর্ণ লোকেশ্বর।
গ্যালারী-৮: মৌর্য, নরণারায়ণ আমলের রৌপ্য মুদ্রা, মিহরাব, পুঁথির নকশী কভার, বিভিন্ন লিপিকাল।


গ্যালারী-৯: মুসলিম ঐতিহ্য গ্যালারীতে বিভিন্ন রাজা-বাদশাদের স্কেচ, ব্যবহৃত ধাতব পাত্র, ব্যবহৃত পোশাক, তুলট কাগজে হাতের লেখা পবিত্র কোরআন, ধাতবের গার্হস্থ্য তৈজসপত্র, বিভিন্ন রীতির আরবি হস্তলিপি, যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে।
গ্যালারী-১০: প্রস্তরের গার্হস্থ্য তৈজসপত্র, লোক বাদ্যযন্ত্র, রাণী ভবাণীর স্মতিচিহ্ন, লোক অলংকার, আবহমান বাংলা, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের দৈনন্দিন জীবনচর্চার সঙ্গে সম্পর্কিত নিদর্শন, পাট বা সুতোয় বোনা শিকা, নকশী কাঁথা।

সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে বাকী দিনগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত (দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিরতি) খোলা থাকে। এ সময়সূচি শীতকালীন (৩১ মার্চ ২০২৫) সময়ের জন্য প্রযোজ্য।

জাদুঘর থেকে বের হয়ে অটোরিকশায় পুনরায় আসলাম রেলওয়ে স্টেশন। খেলাম কালাই রুটি, হাঁসের মাংস, সবজি, ভর্তা। সময়সল্পতায় কাটাখালীর কালা ভুনা না খেয়েই ভদ্রা মোড় থেকে চড়ে বসলাম পাবনাগামী বাসে। বিকাল চারটা নাগাদ পৌঁছালাম পাবনা শহরে। অটোরিকশায় চড়ে গেলাম হেমায়েতপুর পাবনা মানসিক হাসপাতাল। বাউন্ডারির বাহিরে থেকে কথা বললাম রোগীদের সঙ্গে। স্বজনদের মোবাইল নম্বর দিল রোগীরা। ফোনে কথা বললাম স্বজনদের সঙ্গে। রোগী ও স্বজনদের উদ্বেগ, আবেগ, অভিযোগ, অনুযোগ, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের সাক্ষি হলাম। হাসপাতালের গার্ডদের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করলাম ভেতরে। খুব কাছাকাছি, চোখাচোখি, নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে কথা হল রোগীদের সঙ্গে। পুরো হাসপাতাল এলাকা দর্শন হল। হাসপাতালের বিস্তৃত মাঠে কিশোররা ফুটবল চর্চা করছে। দর্শনার্থীরা ঘোড়ার গাড়িতে চড়া উপভোগ করছে। ফিরে এলাম বাজারে, শহীদ চত্বর। পাবনার বিখ্যাত ঘি, মিষ্টি কিনলাম। মুয়াজ্জিনের ডাকে সাড়া দিচ্ছে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। অটোরিকশায় চড়ে পৌঁছালাম পাবনা বাস স্টেশন। শ্যামলী পরিবহনের টিকেট নিলাম জনপ্রতি ৬০০ টাকা মূল্যে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় যাত্রা করল বাস। পাবনার শহর-থানা, সিরাজগঞ্জের শহর-থানা পেরিয়ে সাঁই সাঁই ধ্বনিতে কুয়াশা ভেদ করে চলছে শ্যামলী। রাত তিনটায় নামলাম নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড। পুরো শহর তখন গভীর ঘুমঘোরে। শুধু নিশাচরের মতো জেগে রইলাম আমরা।

Share post:

spot_imgspot_img